পেলে জানাবেন
অনুগ্রহ করে পেলে জানাবেন।
বনে, জঙ্গলে, হ্রদ ও উপত্যকায়
যদি কাঠ ও তক্তার মত
কিছু শরীর পাওয়া যায়,
অনুগ্রহ করে জানাবেন।
আমি পাখিদের কথা জানি।
তারা কেউ সীমানা মানে না।
উড়োজাহাজ মানে। তাকে মানতে হয়।
উড়োজাহাজ হল সাজানো পাখি।
সত্যি পাখিদের গুলি করা হয়,
নাহলে, কোথাও তাদের কোনো মানা নেই।
কিন্তু, মানুষ তো পাখি নয়, মানুষ-ই।
কারণ, সীমানার বোধ তারও আছে।
মানুষ কি চায়,
তাকে অন্য কেউ দখল করুক?
অন্ততঃ ভালোবাসায় কিছুক্ষণ তাকে সওয়া যায়।
কিন্তু কথাটা তা নয়।
কথাটা সীমানার নয়, ভোগ দখলেরও নয়।
মানুষ পাখি, না উড়োজাহাজ, সেই তর্কও নয়।
কথাটা অপমানের। কথাটা ঘৃণার। কথাটা সন্তানের।
কেন সন্তানের?
কেন না, সেও মনে মনে বাবা ও মাকেই দুষবে।
―কোথায় নিয়ে এলে, আরো আরো কোথায় যাব,
ইত্যাদি কথাগুলো প্রত্যেক উচ্ছেদপর্বে উঠবে।
কি দরকার ছিল এসব ঘটানোর?
একি ভ্রমণের আনন্দ? চাকরিতে বদলি হওয়া?
তাছাড়া যাবেনই বা কোথায়?
আরো ছোট, সরু হয়ে আসা কোনো সীমায়?
সেখান থেকে সূর্য দেখা যাবে? জীবনসূর্য?
মানুষও তাহলে শব্দেরই মত!
মানুষ তাহলে নরভগবান!
তাহলে মন্দির-মসজিদ নিয়ে তর্ক কেন?
ভালো করে মানুষের বাগানটি সাজান।
পেলে জানাবেন।
কোথাও কোন মৃত হাড় পড়ে থাকলে জানাবেন।
কেন না, আমিও তো মনে মনে কবিতা শিকারি!
No comments:
Post a Comment