মানবতাবিরোধী দুটি কবিতা
১ -
ধর্ম নিয়ে কম্বল বিলি করে দেখলাম
মানুষ বড্ড গরম হয়ে যাচ্ছে
তাই আইনের বিধি, তার ব্যবহার, আরও একটু সময়
ভূমি হারাবে বলে মানব বেদনা লালকেল্লার চেয়ে উঁচু
আঙুলে আঙুলে দেশলাই
নখের আঁচরে কোন ঘর ভাঙছে
নতুন কৌশলগুলো আরামসে হৃদয়ের নীচে রাখলাম
একটা কালো বেড়াল, একটা জঙ্গল
আমার 'মন কি বাত'
এসব নিয়ে তোমার মুখখোলা বারণ
পেঁয়াজ, আলু, আমি এখন ঘুমাচ্ছি
গুজব ছিল অনেক, সত্যিও কিছু কিছু
'মানুষের তরে মানুষ', এখন পুরনো
জগত্ আমাকে ফ্যাসিস্ট বলছে তাই সভা ডেকেছি
নাগরিক বানাবো, নাগরিক খ্যাদাবো
পোশাকে বিভাজন, কুয়াশার রাত্রি
বিবেক ছিঁড়ে ঝুলে পড়ছে
সুতো
২ -
শান্ত ছিল, এই মাটিতে একসাথে থাকার অধিকার
তোমার মগজ ছিল তীক্ষ্ণ, সুযোগ বরাবর
চোখের ওপর চাপ দিলাম, মনের নরমে
আমরা আকাশ ছুঁতে চাইনি
একটা দোকানঘর, একমুঠো ভাত, আধারকার্ড
বড়ো বেশি অমানবিক এই দীর্ঘশ্বাস
পৃথিবী তো ঘুরে চলে প্রতিদিন, তুমি বোঝ না
জীবনও বয়ে চলবে বন্ধু, ভিটেহারার বুকে কাঁকর
ধর্মের বিনিময়ে দেশ, এভাবে পৃথিবীর বাটোয়ারা
আগুন নিভবে না এভাবে
দ্যাখো, প্রতিবাদে অগুনতি মানুষ হাতে হাত ধরেছে
ঠিক যেমন ছিল পৃথিবীতে ধর্ম আসার আগে
No comments:
Post a Comment