Tuesday, December 24, 2019

অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়





খিদে


করাতের মতো ধারালো একটা
ত্রিভুজ জিভ নেমে আসে.... ঘন নিঃশ্বাস শুনতে পাই; ত্রিপল হয়ে ঢেকে দেয় আলোর জ্ঞান-চোখ। সাময়িক অন্ধ হয়ে এদিক-ওদিক উন্মাদের মতো ঘুরি... কি যে হয় এরপর, আড়ালে ! 

দৃষ্টি ফিরে পেয়ে দেখি - চাষী তার সন্তানের নামে শপথ করে আদিগন্ত পাকা ধান ঢেলে দিল লকলকে ক্ষুধার্ত জিভের নিচে।
কখনও হলুদ মখমলে সর্ষের ঢল বিছিয়ে দেয় তাজা সরের মতো...
আমিও নিরুপায় হয়ে আমার প্রিয়তম চিন্তার ঢেউ সঁপে দিয়েছি বারবার ... ঝিনুককে বলেছি ছিঁড়ে দিক বুকের নরম রক্ত-মাংস , চোখের জলে ভেজা মুক্তোর দলা। 

এই ভাবে শেষ হয়েছে সব একে একে , 
এবার আমার পালা....
তীব্র আত্ম গ্লানিতে নিজেকে ঘৃণা করতে করতে অজান্তেই পরিণত হয়েছি খাদ্যে---
রক্তাক্ত নোনা তরোয়াল পছন্দ মতো 
বহু খন্ডে খন্ডে নষ্ট করে আমাদের -- 
বিষাক্ত করে সবকটা পানীয় জলের ধারা।
খুব ভয় হয়...
জানি , দেশলাই ভেবে যখন খুশি ওরা জ্বালাতে পারবে আমায়, আর ইচ্ছামত নিভিয়ে দেবে একদিন এক-ফুঁয়ে.... 
বীর ভোগ্য বসুন্ধরা ! আর আমরা টুকরো টুকরো নির্বাক মাংস ছাড়া আর কিচ্ছু নই।
ছিলামই না কোনদিন...

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়

হ্যাঁ, অন্যান্য বারের মতো সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে নয়, বরং খুব সচেতন ভাবে, স্পষ্ট ভাবে বলছি, আমরা এন আর সি-র বিরুদ্ধে, সি এ এ -এর বিরুদ...

পাঠকের পছন্দ