বেইমান স্রোত
সব হুক্কা হুয়া, এক শেয়ালের নয় ।
অবশিষ্ট কয়েকটা ভোজন মোচ্ছব সেরে শীতঘুমে ।
আসলে সাহসী হতে চেয়েছিল ওরা বহুকাল আগে ।
এখন তো হাঁটু থর-থর কাঁপে, শরীরটা ঘামে ।
রাজনৈতিক বিপ্লব বন্ধনে বটের ঝুড়িতেই মাতাল প্রভুর হাতে তৈরি পবিত্র নদী নষ্ট হয়ে এঁকেবেঁকে নামে ।
হাহাকারে বুদ্ধির দৌড় থেমে যায়, অচেনা পাখিদের বনভোজনের পর্ব চলে, কে জানে কোন ধামে ?
দেশ ভাগের দিন রাত কাটাতারে ছড়ে গিয়েছিল,
শিশুটার কান্নাতেও জুড়ে ছিল উপাখ্যানের কিছু অধ্যায় ।
সেখানেই ঘেন্নার বারোমাস, সান্ত্বনা দেওয়ার মতো পরিযায়ী গর্ব অহংকার সব তো খাঁচায় বন্দি । এখন উপায় ?
যে মানুষীর হলুদ সন্তান গর্ভে এসেছে,
সে ভেবেছিল, এবারও হয়তো বাচ্চাটা লাল, কমলা কিংবা গোলাপী রঙের হবে ।
অনেক বিষাক্ত রক্ত চেটে চেটে বহুকাল তার জিভে দগদগে ঘা ।
স্নায়ুরোগে উম্মাদ উম্মাদ চেহারা ।
তবুও বেঁচে আছে সে,
থাকবেও নিশ্চিত আরও কয়েকটা বৎসর ।
যে বেইমান স্রোত এসে তার মাটির দেওয়াল ভেঙেছে, তার উৎসের ঝরনাতে স্নানটাও বাকি পড়ে আছে, ফুলমালা শুকিয়ে গিয়েছে ।
No comments:
Post a Comment