Tuesday, December 24, 2019

সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী





বেইমান স্রোত 

সব হুক্কা হুয়া, এক শেয়ালের নয় ।
অবশিষ্ট কয়েকটা ভোজন মোচ্ছব সেরে শীতঘুমে ।
আসলে সাহসী হতে চেয়েছিল ওরা বহুকাল আগে ।
এখন তো হাঁটু থর-থর কাঁপে, শরীরটা ঘামে ।

রাজনৈতিক বিপ্লব বন্ধনে বটের ঝুড়িতেই মাতাল প্রভুর হাতে তৈরি পবিত্র নদী নষ্ট হয়ে এঁকেবেঁকে নামে ।

হাহাকারে বুদ্ধির দৌড় থেমে যায়, অচেনা পাখিদের বনভোজনের পর্ব চলে, কে জানে কোন ধামে ?
 
দেশ ভাগের দিন রাত কাটাতারে ছড়ে গিয়েছিল,
শিশুটার কান্নাতেও জুড়ে ছিল উপাখ্যানের কিছু অধ্যায় ।

সেখানেই ঘেন্নার বারোমাস, সান্ত্বনা দেওয়ার মতো পরিযায়ী গর্ব অহংকার সব তো খাঁচায় বন্দি । এখন উপায় ?

যে মানুষীর হলুদ সন্তান গর্ভে এসেছে,
সে ভেবেছিল, এবারও হয়তো বাচ্চাটা লাল, কমলা কিংবা গোলাপী রঙের হবে ।

অনেক বিষাক্ত রক্ত চেটে চেটে বহুকাল তার জিভে দগদগে ঘা ।
স্নায়ুরোগে উম্মাদ উম্মাদ চেহারা ।
তবুও বেঁচে আছে সে,
থাকবেও নিশ্চিত আরও কয়েকটা বৎসর ।

যে বেইমান স্রোত এসে তার মাটির দেওয়াল ভেঙেছে, তার উৎসের ঝরনাতে স্নানটাও বাকি পড়ে আছে, ফুলমালা শুকিয়ে গিয়েছে ।

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়

হ্যাঁ, অন্যান্য বারের মতো সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে নয়, বরং খুব সচেতন ভাবে, স্পষ্ট ভাবে বলছি, আমরা এন আর সি-র বিরুদ্ধে, সি এ এ -এর বিরুদ...

পাঠকের পছন্দ