নৈরাজ্য এবং
১
কাঁটাতার দেখিনি আমি।
আমি সুখী।
দু'বেলার ভাতে অপার শান্তি
আছে।
নাটক, নভেল, চর্বিত চর্বণ
আছে।
আমি অতএব সুখী।
একদিন ঘুম থেকে উঠে
দেখছি,
কঙ্কালের স্তুপ জমেছে
রাস্তায়।
সুখী হতে চেষ্টা করি
তাও। চেষ্টা,
টের পাই শিরদাঁড়া অসমান
আমার।
রাষ্ট্র তখন মানুষ খুনে
ব্যস্ত।
২
উঠোনের যেদিকে তুলসীতলায়
মা প্রদীপ জ্বালাতো,
শুনলাম, ওটা আমার দেশ
নয়।
বাবা যে চায়ের দোকানের
নিত্য খরিদ্দার ছিলো,
শুনলাম, সেটাও।
স্টেশন, বাজার, খেলার
মাঠ, যা "আমাদের" বলে চিনতাম,
শুনেছি সেসবও নয়।
বাবা এখন বাক্সে আলমারিতে
দেশ খুঁজে ফেরে।
মা আর তুলসীতলায় যায়
না।
৩
বন্ধুর মুখ অন্ধকারে
চেনা যায় না।
হাতঘড়ির কাঁটা রাত্রে
গড়ালে ভয় হয়,
এই বুঝি রাষ্ট্রের পরোয়ানা
থাবা বসালো।
বন্ধু বলেছে এতোদিন ভুল
ছিলো।
ঠিকটুকু বুঝতে কোনোও
পতাকা খুঁজছে ও।
ওর মুখ আলোতে চিনতে
পারি না আর!
৪
টিভিতে সং-রা আস্ফালন
করে।
কাগজে যতো মুখের ছবি,
তার মতো আহত করে না কেউই।
চলে যেতে হবে মেনে নিয়ে
উদ্দেশ্যহীন ঘুরি।
শুধু কিছু মুখ এখনও প্রজাপতি
বোঝে।
No comments:
Post a Comment